মোঃ ইসহাক, ঈশ্বরগঞ্জ(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধিঃ সকালে কুয়াশা কিংবা সন্ধ্যায় হিমেল বাতাসে কদর বেড়েছে ভাপা পিঠার। উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতেই শীতের আগমনী বার্তায় শীতের ভাপা পিঠা বিক্রির ধুম পরেছে। একসময় শীত মৌসুমে গ্রামীণ বধূরা রকমারি পিঠা তৈরি করতেন।
কিন্তু বর্তমান সময়ে ঘরে পিঠা তৈরি খুব কমই হয়। ক্রমাগত ঘরে পিঠা তৈরির ঐতিহ্য যেন কমতে শুরু করেছে। ঘরে তৈরি করা কমলেও চাহিদা কমেনি শীতের পিঠার। শীত বাড়ার সাথে সাথে রাস্তার পাশে আনাচে কানাচে শীতের পিঠার ব্যবসা জমে উঠেছে। সকালে একবার আবার বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযুদ্ধা মোড় , হাসপাতাল গেইটসহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ঘুরে দেখা গেছে পিঠা বিক্রির ধুম। দামেও তেমন বেশি নয় এসব পিঠা। ভাপা পিঠার সাথে আছে চিতই পিঠার চাহিদা। ৫ টাকা থেকে আকার ভেদে সর্বোচ্চ ১০ টাকা করে বিক্রি হয় এসব পিঠা। তবে ভাপা পিঠা ও চিতই পিঠার চাহিদাটাই বেশি।
ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতাল গেইট সংলগ্ন বিক্রেতা জানান, এই পিঠা দাম কম হওয়ায় সব ধরণের মানুষই এখানে ভিড় করেন পিঠা খেতে। তিনি ভাপা পিঠার সাথে সাথে চিতল পিঠাও বিক্রি করেন। কেউ কেউ আবার পিঠা কিনে নিয়ে যান বাসায়। হাসপাতাল গেইটে ভাপা পিঠা খাচ্ছিলেন নাইম নামের এক যুবক। এসময় কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর বন্ধুরা মিলে এসব দোকান থেকে পিঠা খাই। শীতকালের খাবার মধ্যে পিঠা অন্যতম। আগে যদিও বাড়িতে এসব পিঠা বানানো হতো কিন্তু এখন তা আর দেখা যায় না।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।